বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
মহান আল্লাহ পাকের নামে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময় ও পরম দয়ালু।
১ম অংশ- সমাজে নারীদের মর্যাদা রক্ষা
আমাদের অনেকেই আশা করি নিশ্চই এ বিষয় একমত হব যে বর্তমান বিশ্বে জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের শ্রদ্ধেয় মা জাতি অর্থাৎ নারীরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখিন হন। এরকম কিছু সমস্যা ও তার প্রতিকার ইসলাম কিভাবে দিয়েছে এবং আমাদের তথাকথিত আইনে এর প্রতিকার নিয়ে আজ প্রথম পর্ব
১। যৌতূক সমস্যাঃ
এই সমস্যার আজ পর্যন্ত না আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত না পাকিস্তান না আমরা কোন সমাধানে আসতে পেরেছি। আজও আমাদের দেশে হোক তিনি একজন স্বল্পবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত মানুষ, মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে তাকে বিপাকে ও অর্থ সঙ্কটে পড়তে হয়ই। এ যেন এক প্রকার নিয়মে পরিণত হয়ে পড়েছে।
অনেকেই বলতে পারেন যে শিক্ষার অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ এই সমস্যা কাটিয়ে উঠছে/উঠেছে। তাদের জন্য বলছি খুব সম্ভবত আপানাদের বিচরণ সমাজের অল্প কিছু মানুষদের মধ্যেই সিমাবদ্ধ। তাই আপনারা বোধহয় জানেন না যে গ্রাম ও মফস্বল অঞ্চলে এবং এমনকি আমাদের শহরের অনেক বিয়েতেও যৌতূক নেওয়ার প্রথা খুব জোরে সোরে চালু রয়েছে। আপনারা যারা পুরানো ঢাকায় বসবাস করেন তারা বোদহয় এরকম ঘটনা প্রায়ই দেখে থাকেন। সভ্যতার বেশ ধরে ও সামাজিকতাকে হাতিয়ার বানিয়ে অনেক আগে থেকেই চলে আসছে এই কুনীতি। আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে যৌতূক এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকা সত্তেও তার প্রয়োগ প্রায় হয় না বললেই চলে।
অথছ দেখুন ইসলাম আমাদের বলছে বরং উলটোটা। মুসলিম বিয়ের সময় যৌতুক নেওয়া তো দূরের কথা বরং বিয়ের সময় বরের কনেকে উলটো মোহরের টাকা উপহার হিসেবে প্রদান করতে হয়। পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক বলেনঃ
" নারীদের তাদের মোহরানার অংক একান্ত খুশি মনে তাদের (মালিকানায়) দিয়ে দাও অতঃপর তারা যদি নিজেদের মনের খুশিতে এর কিছু অংশ তোমাদের (ছেড়ে) দেয়, তাহলে তোমরা তা খুশি মনে ভোগ কর। "
-- সুরা আন-নিসা, আয়াত- ৪
আমাদের দেশে ইসলামী আঈন প্রতিষ্ঠিত নেই বলে যৌতূক প্রথা এখনো বিদ্যমান। ইসলামী শাষণ ব্যবস্থার অভাবে মোহর পরিপূর্ণ ভাবে দেওয়াটাকেও আমাদের অনেক মুসলমান ভাইয়েরাই তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করেন না।
ইসলামী আঈনে যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম এবং একটি কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ কারণ এখানে আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা; যিনি আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন; সেই মহান আল্লাহ পাকের দেওয়া বিধান উলঙ্ঘনের সাথে সাথে তার ঠিক সম্পূর্ণ উলটো কাজটি করা হচ্ছে। এ এমন এক পাপ যার শুরু হয় আল্লাহ পাকের দেওয়া আঈনের বিরুদ্ধাচরণে ও শেষ হয় মেয়েদের বিয়ের সময়কার ও বিয়ের পরের বিড়ম্বনা ও লাঞ্ছনা দিয়ে যা অনেক সময় তাদের আত্মহত্যা করতেও বাধ্য করে।
ইসলামী আইন মানা হলে যে শুধু মুসলমানরাই উপক্রিত হবেন তা নয়, এমনকি আমাদের হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বি বোনেরাও এই আইন দ্বারা উপকৃত হবেন। এতে করে আমাদের সমাজে হিন্দু বিয়েতেও যৌতূক প্রথা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব।
আমাদের সবার উচিত ইসলামের দিকে ফিরে আশা। আমাদের উচিত মহান আল্লাহ্পাকের আদেশগুলোকে মেনে চলা। এতে কল্যাণ রয়েছে আমাদের, সমগ্র মানবজাতির।
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য জানতে ভিজিট করুন এই লিঙ্ক এঃ http://goo.gl/BZnUj
No comments:
Post a Comment